মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
বরিশালের উজিরপুরে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেয়ার প্রতিবাদ করলে মহিলা ইউপি সদস্যের বাহিনীরা পিটিয়ে ২ ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত করেছে। এর প্রতিবাদে মহিলা ইউপি সদস্যর অপসারণের দাবীতে ঝাড়– মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় শোলক তেঁতুলতলা নামক স্থানে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য পার্বতী রানী দাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে। স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোলক গ্রামে করিম সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদারের কাছ থেকে বয়স্কভাতার নাম করে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আরো ১ হাজার টাকা দাবী করে। আলী হোসেন নামক এক প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে ভাতা বাবদ ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আদম আলী হাওলাদারের ছেলে রহমান আলী হাওলাদারের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার নামে ২ হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নেয়। ইমান উদ্দিন সরদারের ছেলে সাহেব আলী সরদারের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার নামে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। খলিল সরদারের কাছ তেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মৃত সামসু খলিফার স্ত্রী জয়নব বেগমের কাছ থেকে বিধবা ভাতা বাবদ নগদ ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গোসাই চন্দ্র দাসের ছেলে নিপু প্রতিবন্ধী নিপু চন্দ্র দাসের কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মহিলা ইউপি সদস্য’র স্বামী দিলীপ কুমার দাস। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মৃত আবুল কাসেম হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন হাওলাদার(৪৫) ও ভূক্তভোগী রাজ্জাক সরদারের ছেলে লিটন সরদার(৩৬) তেতুলতলা নামক স্থানে উৎকোচ নেয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন খানের উপস্থিতিতে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ইউপি সদস্য’র স্বামী দিলীপ কুমার দাস(৬০), তার ছেলে প্রদীপ দাস(৩০) ও সজীব দাস(২৬)। আহতরা উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এমনকি আহতদের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দিলীপ কুমার দাস জানান, আমি ও আমার স্ত্রী কারো কাছ থেকে ভাতার নামে টাকা আত্মসাৎ করিনি। তবে হাতাহাতির ঘটনা তিনি স্বীকার করেন। পার্বতী রানী জানান, প্রতিপক্ষরা আামর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। হামলার বিষয় আমার জানা নেই। ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কাজী হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রহস্য উদঘাটন করা হবে। ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, আমার উপস্থিতিতেই হঠাৎ বুঝে ওঠার আগেই হামলা হয়েছে। উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রন করেছি। ওই হামলাচারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী